টানা চার দিন ধরে তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। শুরু হয়েছিল বুধবার। দিন দিন এর পরিধি বেড়েছে। শুক্রবার দেশের ৪৫ জেলায় বয়ে গিয়েছিল তাপপ্রবাহ। শনিবার এ তাপ ছড়িয়ে পড়ে দেশের ৬২ জেলায়। আগের দিনের চেয়ে গতকাল বেড়েছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের এলাকাও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, আজ রোববারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে সেই সঙ্গে দুই বিভাগে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলেছে আবহাওয়া অফিস। তাতে তাপমাত্রার খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চলতি মাসের শুরুতেই দেওয়া মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছিল, চলতি মাসে এক থেকে একাধিক তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে বছরের সবচেয়ে উষ্ণ মাস এপ্রিল কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম উষ্ণ ছিল। মে মাসের শুরুটাও সহনীয় ছিল অনেকটাই। তবে গত বুধবার থেকে তাপপ্রবাহ বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। এ অবস্থায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
তবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, দেশের প্রায় প্রতিটি এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার এ ঘটনা মোটেও নতুন নয়। আবার এই মে মাসেই কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড আছে বলে স্মরণ করিয়ে দেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ১৯৭২ সালের ১৮ মে। ওই দিন তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দীর্ঘ সময় ধরে দিনে সূর্যের তাপ, বাতাসের কম গতিবেগ, দক্ষিণ থেকে আসা জলীয় বাষ্পের কমতি, বৃষ্টি না থাকা—এসব কারণেই তাপপ্রবাহ এমন বেড়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদেরা। আর হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে রোগও।
কত দিন থাকবে তাপ
আবহাওয়ার বার্তা অনুযায়ী, রোববারও দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। তবে এর পরিধি সামান্য কমতে পারে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ। তিনি বলেন, রোববার তাপপ্রবাহ থাকবে। এর পরিধি একই রকম বা কিছুটা কমতে পারে। তবে সোমবার দেশের কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এখন যে তাপ, তা হঠাৎ করেই কমবে না। এর জন্য ঠান্ডা বায়ুর প্রবাহ দরকার। এটি এলে ধীরে ধীরে তাপ কমতে থাকবে এবং বৃষ্টির জন্য মেঘমালা সৃষ্টি হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ